Bee কয়েকজন সাদা মানুষ (ধারাবাহিক গল্পঃ পর্ব-৫) Star

লিখেছেন লিখেছেন মামুন ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৬:১১:৩৬ সন্ধ্যা



Roseএকটা সুখস্বপ্ন দেখছিল রশীদ। যদিও সুজন ওকে মফিজ ডাকে। আমরা রশিদই ডাকবো। ঘুমের ভিতরই বুঝতে পারলো যে বাসটা কোনো এক যায়গায় দাঁড়ানো অবস্থায় আছে। অনেক দিনের অভ্যাস। এখন কি ঘুম কি জাগরণ- সব অবস্থায়ই রশীদ বুঝতে পারে আশেপাশে কি চলছে। এই যে এখন স্বপ্ন দেখছে কিন্তু অবচেতন মন ঠিকই বুঝেছে বাসটা দাঁড়িয়ে আছে। এটা ও বা কিভাবে সম্ভব?

স্বপ্নে দেখছিলো একটা খালের পাড়। কয়েকজন দাঁড়িয়ে মুত্রত্যাগ করছে। কেউ কেউ বসে করছে। রশীদ ওদের হিসি করা দেখছে। আর হাসছে। হঠাৎ দমকা বাতাস প্রস্রাব উড়িয়ে নিয়ে রশীদের মুখের এক পাশ ভিজিয়ে দিলো। আর যারা হিসি করছিল এবার তাদের অট্টহাসিতে চারপাশ কেপে উঠলো। রশীদের হাত নিজের মুখে ঊঠে এলো।ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো। সত্যিই তো মুখটা ভেজা ভেজা লাগছে। আর হাসির শব্দ এখনো মিলিয়ে যায় নি।

পুরাপুরি জেগে উঠে সব বুঝতে পারলো।আকাশ থেকে ঊড়ে যাবার সময় একটা কাক ওর উপর এইম করেছিলো। সেটা সরাসরি ওর মুখের একপাশে। বাসের ছাদের উপর ওর মতো আর এক মফিজ সেটা দেখে অট্টহাসি হাসছে। রশীদ চেহারাটা ভয়ংকর করে ফেললো। সাপের মত দৃষ্টি নিয়ে ওই লোকের দিকে তাকিয়ে ওর কলিজা কাঁপিয়ে দিলো। এবার ওই লোকের কাধ থেকে গামছাটা নিয়ে মুখে লাগা কাকের গু মুছে গামছাটা আবার তার কাঁধে ঝুলিয়ে দিলো।

যেন কিছুই হয় নি, এমন ভাব করে একটা বিড়ি নিজের হাতে নিয়ে আর একটি সেই গামছাওয়ালার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করলোঃ বিড়ি খাবা? উত্তরে কিছু না বলে ওর দিকে তাকিয়ে সেই লোক চুপ করে রইলো।

এবার ম্যাচটা বাড়িয়ে দিয়ে রশীদ বললোঃ আমরা সবাই একে অপরের ভাই না?

গামছাওয়ালা বললোঃ হু।

রশীদঃ হু কিরে? বল জী জনাব।

গামছাওয়ালাঃ জী জনাব।

রশীদঃ এইতো লাইনে আসছোস। আমরা যদি ভাই ই হই, তবে একজনের দুঃখে অন্যজন কেন হাসবো?

গামছাওয়ালাঃ আর হাসবো না। জী জনাব ভুল হইয়াছে।

রশীদঃ ভুল স্বীকার করাও বিরাট বাহাদুরির কাজ। সবাই এইটা পারে না।নাও, ধরাও, বিড়ীটা ধরাও। অনেক বাহাদুরির কাজ করছ। এইটা তোমার পুরস্কার।

গামছাওয়ালাঃ না, বিড়ি শরীরের জন্য খেতিকারক জনাব। আমিতো ধরাবোই না, আপনেও ধরাইয়েন না।

বিড়ি না ধরিয়ে ও দুটো আবার প্যাকেটে রেখে দেয় রশীদ। বাসটা আবার চলা শুরু করে।

দুপাশের গাছপালাগুলোর ডালপালা বাতাসের ঝাপ্টায় বেঁকে যাচ্ছে। রাস্তা ফাঁকা দেখে ড্রাইভার সেরাম টান দিছে। একটু ঠান্ডা লাগছে।নীচে যেতে পারলে ভালো লাগতো। কিন্তু উপায় নেই।কষে বিড়িতে দুটো টান দিলে শরীরটা একটু গরম করা যেতো।এ রকম গরম করেছিলো আরো অনেক আগে। ওর সেই ছোটবেলায়।প্রচন্ড শীতের রাত। ওর মা বিছানায় অসুস্থ। ভীষণ জ্বর। কাঁপছে। ঘরে যতো কাথা কাপড় ছিলো, সব ওর মাকে জড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বেড়ার ফাক দিয়ে হু হু করে বাতাস আসছে। ওদের বাকী কাপড় দিয়ে সেই সব ফাক-ফোকড় বন্ধ করার চেষ্টা করে দুই বাপ-বেটা শুধু দুইটা গামছা পরে আছে। শরীরের উপরে দুজনের কিছু নাই। মাঘ মাসের শীতে কাঁপতে কাঁপতে রশীদের বাবা বলে চলেছেঃ ভয় নাই রশীদের মা। কোনোমতে আইজকের রাইতটা কাটাই দিতি পারলি বাইচা গেলি। আল্লহারে ডাক। বাপজান, তুই ও আল্লাহরে ডাক।

রশীদও কাঁপতে কাঁপতে আল্লাহকে ডাকে।একসময় শীতের কাছে হার মানে। বলে, ' বাজান, আর তো পারতেছি না।কিছু একটা গায় দেওন লাগে।' ওর বাবা বলে, ' না, বাজান। দেখস না তোর মার অবস্থা। আর ঘন্টা তিনেক পরই সুর্য ঊঠবে। তখন তোর মারে নিয়া গঞ্জে যাবো। এইটুকুন কষ্ট কর দিকিন বাজান।'

তারপর কি মনে করে বিড়ির প্যাকেট খুলে নিজে একটা ধরায়। আর একটা ছেলের দিকে দিয়ে বলে, ' নে বাজান, জোরসে টান মার। শীত ভাইগা যাবে।'

কতটা অসহায় হলে একজন বাবা তার নিজ হাতে ছেলের হাতে বিড়ি ধরায়ে দেয়। বাসের ছাদে বসে রশীদ ভাবে সেই রাতের কথা। এখনো প্রচন্ড শীতের রাতগুলোতে ওর দুজন মানুষের কথা মনে পড়ে। একজন ওর বাবা যিনি শীতের হাত থেকে বাঁচাতে ওকে বিড়ি টানার জন্য দিয়েছিলেন। আর অন্যজন ওর মা।যে প্রচন্ড জ্বরের ভিতর চাতও তার শরীর থেকে কাথা সরিয়ে ছেলের শীত নিবারণ করতে চেয়েছিলেন।

আল্লাহকে ডেকে সেই রাতে রশীদ ওর মাকে বাঁচাতে পারে নাই।পরেরদিন সকালে ওর মা পরবর্তী রাতগুলোতে ওরা যাতে একটু উষ্ণ থাকতে পারে, সে জন্যই একেবারে চলে গেলেন।

দুচোখ বেয়ে গরম নোনা জলের ধারা বয়ে যাচ্ছে। টের পেলেও বাঁধা দিতে পারছে না রশীদ। ভাবছে এতো গরীব কেন হয় মানুষ? গামছাওয়ালা অবাক হয়ে ওর সামনের এই আধপাগলা মানুষটাকে দেখছে।

এ কেমন মানুষ যে এই হাসে-রাগে আবার মুহুর্তেই কাঁদে!

... ...

চাকার স্কীডের শব্দে ছাদের উপরে থাকা রশীদের ঘুম ভেঙ্গে গেলো। ওর সামনের সেই গামছাওয়ালা মহেরায় নেমে গেছে। অন্য কয়েকজন এখনো আছে। সামনে একটা টেম্পু হঠাৎ ব্রেক করায় বাসটাও হার্ডব্রেক করেছে। সেই শব্দে রশীদের ঘুম ভাঙ্গে। ভালই হল। চান্দরার (চন্দ্রা) প্রায় কাছে এসে পড়েছে। দুপাশের জনজীবন দেখতে দেখতে বাসের ছাদের উপরে থাকা রশীদ আবার আনমনা হয়ে পড়ে। তবে তা অল্প সময়ের জন্য। হঠাৎ ‘ এই গেলো গেলো’... ‘আহারে’... ‘ও মা’ ইত্যকার শব্দে রশীদ বাস্তবে ফিরে আসে। বাসটা আবারো হঠাৎ ব্রেক করাতে সামনের দিকে ঝুকে পড়ে। একই সাথে ছাদের উপরের অন্য যারা রয়েছে তাঁরাও একে অপরের দিকে তাকায়। সব কিছু সেকেন্ডের ভিতরেই ঘটে যায়। এবারে রশীদ নীচের দিকে তাকায়। দেখে একজন মানুষ রাস্তায় পড়ে আছে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে। আশেপাশে অনেক বাদাম ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। একটা ডালা... সেখানে এখনো কিছু বাদাম অবশিষ্ট... ভাল করে দেখে রশীদ বুঝল, যে পড়ে আছে সে একটি কিশোর। এক কিশোর বাদামওয়ালা। নিজের রক্তের ভিতরে ছটফট করছে।

রশীদদের বাসটি থেমে গেছে। উত্তেজিত জনতা বাসের ড্রাইভারের কলার ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। হেল্পার ফাঁক বুঝে সটকে পড়েছে। কয়েকজন যাত্রী মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে আহত ছেলেটির ছবি তুলছে। হায়রে মানুষ! জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে একজন রাস্তায় পড়ে আছে। আর কেউ ড্রাইভারকে উত্তম-মধ্যম দিতে ব্যস্ত। কেউ বা ছবি তোলায়। কিছু যাত্রী হুদাই চীৎকার করছে। কয়েকজন ভীড় ঠেলে যে এক্সিডেন্ট এর শিকার হয়ে পড়ে আছে, তাকে একনজর দেখতে চেষ্টা করছে। এক মহিলা তো রক্ত দেখে ওর সামনেই ‘ওয়াক’ শব্দে বমি করে দিলো। কিন্তু কেউই আহত ছেলেটিকে যে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া প্রয়োজন সেটার কথা ভাবছে না... নিজে থেকে কেউই উদ্যোগ নিতে চায় না আজকাল। পথে যদি ছেলেটি মারা যায়, তখন বেশীরভাগ সময়ই উদ্ধারকারী বিপদে পড়ে যায়। এমন দেশে বাস করছি আমরা!

অদুরে একজন পুলিশের লোক তার মটর বাইকের কাছে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছে। পুলিশের হৃদয় মনে হয় এসব দেখে দেখে কঠিন হয়ে গেছে। তাই ওরা আজকাল এগুলোতে প্রতিক্রিয়া দেখায় না। রশীদ বুঝলো যা করার ওকে একাই করতে হবে। পকেট থেকে সেই খাউয়া মানুষটির টাকাগুলো বের করে দু’টো ৫০০ টাকার নোট হাতে রেখে বাকীটা আবার ভিতরে চালান করে দিলো। এই টাকাগুলো সে আজ পকেট মেরে পেয়েছে।

সোজা পুলিশের এ এস আই’র কাছে গিয়ে নোট দু’টো হাতের ভিতরে গুঁজে দিয়ে কিছু একটা বললো। মুহুর্তেই পুলিশটির ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায়। সে ভিড় ঠেলে এগিয়ে উৎসুক জনতাকে হঠিয়ে দিতে চেষ্টা করে। রশীদ মনে মনে এক চোট ঘৃণা মেশানো হাসি হেসে একটি সিএনজি ট্যাক্সিকে দাঁড়া করায়।

কালিয়াকৈর এর সখিনা ক্লিনিকের সামনে এসে ট্যাক্সিটি থামে। পিছনেই থেমে যায় পুলিশের মটর বাইকটিও। হাসপাতালের কয়েকজন সেবকের সহায়তায় আহত ছেলেটিকে দ্রুত জরুরী বিভাগে ভর্তি করা হয়। সাথে পুলিশের লোক থাকাতে ভর্তি করাতে কোনো অসুবিধা হলনা। রশীদের পকেটের সমস্ত টাকা শেষ হয়ে যায়। এক প্যাকেট বিড়ি ছাড়া আর কিছুই নেই এখন। অথচ যেতে হবে সেই গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত।

ক্লিনিকের বাহিরে বের হয়ে নির্জন একটা জায়গা বেছে নিয়ে একটা বিড়ি ধরায়। আশপাশে সব ভদ্রলোকেরা ঘুর ঘুর করছে। তাদের সামনে কি আর বিড়ি ধরানো যায়। কোথা থেকে যেন সেই এ এস আইটি ওর পাশে এসে দাঁড়ায়। ওকে জিজ্ঞেস করে, ‘রুগী আপনার কে হয়?’ বিড়িতে কষে একটান দিয়ে ধুঁয়াগুলো অন্যদিকে ছেড়ে দিতে একটু থামে রশীদ। বিড়ির গন্ধে কিছুটা ভ্রু কুঁচকে ফেলেও সাথে সাথেই সেটা আবার সমান করে ফেলে পুলিশটি। কিন্তু রশীদের নজর এড়ায় না তার বিরক্তি ভাবটুকু । বিড়ি ফেলে দিয়ে বলে, ‘আমার কেউ হয় না।‘

অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে পুলিশ কর্মকর্তা। একটু লজ্জাও পায়। এখনো মনে হয় সে পুরোপুরি পুলিশ হয়ে উঠতে পারেনি। কি বলবে বুঝে উঠতে পারে না। কারণ তাকে দেয়া এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে ক্লিনিকের যাবতীয় খরচ এই লোকটি পে করেছে এমন একজন আহত রাস্তার মানুষের জন্য, যে কিনা তার কিছু হয় না!! তার ইচ্ছে করছে এই বিড়িখেকো মানুষটিকে একটা স্যালুট দিতে। কিন্তু সে মনে মনে দিলেও প্রকাশ্যে দিতে ইতস্তত বোধ করে। তবে পকেট থেকে ৫০০ টাকার নোট দু’টি বের করে দিতে গেলে রশীদ তাকে থামিয়ে দেয়। বলে আপনি যদি পারেন আমাকে সেই এক্সিডেন্টের জায়গা পর্যন্ত নামিয়ে দিতে পারেন। এ এস আই সানন্দে রাজী হয়।

একেবারে চান্দোরা নামিয়ে দিয়ে পুলিশটি মটরবাইক থামিয়ে দিলো। ওকে চা খাবার কথা বললে একটু হেসে রশীদ তাকে জানায়, ‘ আপনি মনে হয় আমাকে মহাপুরুষ জাতীয় কিছু ভেবে বসেছেন। যে টাকাগুলো আমি খরচ করলাম সেগুলো আজ সকালে একজনের পকেট মেরে নিয়েছিলাম।‘

অবাক হয়ে পুলিশটি রশীদের বাড়িয়ে দেয়া হাত ধরে থাকে। ছেড়ে দেবার কথা বেমালুম ভুলে যায় মনে হয়। কেমন বিহ্বল হয়ে শুধু রশীদকে দেখতে থাকে। তবে সেই চোখে কিছুটা অবাক ভাবের সাথে সাথে পুলিশী নজরের পরিবর্তে সেখানে একজন আমজনতার ঘোরলাগা দৃষ্টিও ফুটে উঠে... তবে তা ক’য়েক সেকেন্ড। এরপর সে আবার বাংলাদেশের একজন পুলিশে পরিণত হয়। মটরবাইকটি ঘুরিয়ে নিয়ে ফিরতি পথ ধরে অনির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে চলে যায়।

রশীদ সম্পুর্ণ ঠিক বলে নাই। পকেটমারার টাকার বাইরেও ওর নিজস্ব কিছু টাকাও ছিল। সেগুলোও সব শেষ। এখন এই রক্ত মাখা জামা-প্যান্ট নিয়েই ওকে হেঁটে হেঁটে চান্দোরা থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা যেতে হবে। একটা বিড়ি ধরিয়ে সামনের দিকে চলা শুরু করে... যে কোনো বাস বা টেম্পুওয়ালাকে বললেই ওকে নিয়ে নিতো। তবে সে একজন সৌখিন পকেটমার হলেও একটু অন্যধরণের ব্যাক্তি সাতন্ত্র্যতা তার রয়েছে। এজন্যই কারো কাছে হাত পাততে সে রাজী নয়। একসময় ছিনিয়ে নিয়েছে... তবে ভিক্ষার ঝুলিকে সে ঘৃণা করে। সুন্দরবন বাঁচানোর আন্দোলনের ব্যাপারেও সুজনের সাথে ওর মতের মিল নেই। সুজন অহিংস আন্দোলনের পথে যেতে চাইলেও রশীদ দাবী-দাওয়ার ব্যাপারে একটা রেডিক্যাল মুভমেন্টেই বিশ্বাসী।

রক্তমাখা জামা-কাপড় পড়ে একজন রঞ্জিত সাদা-কালো মেশানো মানুষ একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যায়। Good Luck

(ক্রমশঃ)

বিষয়: সাহিত্য

১১১৭ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

264625
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৪
নিউজ ওয়াচ লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ । চলুক
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫০
208252
মামুন লিখেছেন : আপনাকেও পড়ার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।Happy Good Luck
264644
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৬
ফেরারী মন লিখেছেন : ছিনতাইকারী হলেও ব্যক্তিত্ব আছে বলা যায়। Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Big Grin Big Grin Big Grin
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:০২
208416
মামুন লিখেছেন : ধন্যবাদ।
সে ছিনতাইকারী নয়। আগে পকেটমারতো, তবে খুঁজে খুঁজে পয়সাওয়ালাদেরটা। এখন শখের বশে দু'একটা কাজ করে বটে, তবে তা পুরনো অভ্যাস যাতে নষ্ট না হয়, সে জন্য Happy
শুভেচ্ছা আপনাকে।Happy Good Luck Good Luck
264671
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:১৩
আফরা লিখেছেন : আমরা যদি ভাই ই হই, তবে একজনের দুঃখে অন্যজন কেন হাসবো !

আজকের সমাজের মানুষের অবস্থা হল কারো দুঃখ কষ্ট দেখে উপরে সহানু ভূতি দেখালেও ভিতরে ভিতরে খুশীই হয় ।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:০৪
208417
মামুন লিখেছেন : আপনি সঠিক আছেন, সহমত।
অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা অনুভূতি রেখে যাবার জন্য।Happy Good Luck
264795
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৫:১৪
কাহাফ লিখেছেন : "মানুষ যদি মানুষেরই উপকারে না আসলো তাহলে সে আর মনুষ কিভাবে থাকে।" বর্তমানে মানুষ মনে হয় ভূলে যাচ্ছে এমন মনাবিকতা।রশীদদের মত দু'এক ছাড়া।
আবেগময়ী এমন উপস্হাপনা-অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই.....।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:০৫
208418
মামুন লিখেছেন : আপনাকেও সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা কাহাফ ভাই।
জাজাকাল্লাহু খাইর।Happy Good Luck Good Luck
265077
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০২
ইমরোজ লিখেছেন : মামুন ভাল হচ্ছে লেখাটা and this is the right platform for your writing !!
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩২
208723
মামুন লিখেছেন : ধন্যবাদ তোমায়।
হ্যা, আতিক আমাকে ব্লগেই লিখতে বলেছিল।
সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ বন্ধু।
শুভেচ্ছা রইলো।Happy Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File